India Civil Defence Mock Drill On May 7 – ভারত ৭ মে সমস্ত নির্ধারিত সিভিল ডিফেন্স শহর এবং জেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ সিভিল ডিফেন্স মক ড্রিল পরিচালনা করবে। এটি ১৯৭১ সালের পর থেকে দেশব্যাপী এই ধরণের প্রথম সমন্বিত মহড়া। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার কয়েক সপ্তাহ পরে এই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল এবং জরুরি প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
🌿ড্রিলের মধ্যে কী কী অন্তর্ভুক্ত থাকবে? (India Civil Defence Mock Drill On May 7)
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, স্থানীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি পরীক্ষা করার জন্য এই মহড়া প্রতিকূল পরিস্থিতির অনুকরণ করবে।
এর মধ্যে থাকবে:
- শহর ও আধা-শহুরে এলাকায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানো
- সশস্ত্র বাহিনীর সাথে রেডিও এবং হটলাইন সংযোগ সহ জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যবহার
- স্কুল ছাত্র, বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবক এবং বাসিন্দাদের মৌলিক সুরক্ষা এবং সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ
- কমান্ড প্রস্তুতি মূল্যায়নের জন্য ছায়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা
- ব্ল্যাকআউট প্রোটোকল অনুশীলনের জন্য নির্বাচিত এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করা হচ্ছে
- বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং শোধনাগারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলির প্রাথমিক ছদ্মবেশ
- স্থানীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনার উচ্ছেদ মহড়া এবং মহড়া
রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে এই মহড়া পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মহড়ায় সিভিল ডিফেন্স ওয়ার্ডেন, হোম গার্ড, জেলা কর্মকর্তা এবং এনসিসি, এনএসএস, এনওয়াইকেএস এবং স্কুল গোষ্ঠীর মতো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি অংশগ্রহণ করবে। সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক এই বাস্তবায়ন তদারকি করবেন এবং ইভেন্ট-পরবর্তী কর্মক্ষমতা প্রতিবেদন সংগ্রহ করবেন।
🌿১৯৭১ সালের পর প্রথম দেশব্যাপী মহড়া
১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পর এই প্রথম ভারত এত ব্যাপক বেসামরিক প্রতিরক্ষা মহড়া আয়োজন করছে। সেই সময়কালে, স্থানীয় প্রশাসনকে ব্ল্যাকআউট মহড়া পরিচালনা এবং বিমান বোমা হামলার ঝুঁকির জন্য বেসামরিক নাগরিকদের প্রস্তুত করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
২০২৫ সালের মহড়ার লক্ষ্য হল দ্রুত যোগাযোগ এবং সমন্বিত স্থানান্তর কৌশলের উপর অতিরিক্ত জোর দিয়ে আধুনিক প্রেক্ষাপটে এই ব্যবস্থাগুলি পুনঃপ্রবর্তন করা।
🌿কেন এই মহড়া এখন পরিচালিত হচ্ছে
২২শে এপ্রিল পহেলগামে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর এই মহড়া শুরু হয়েছে, যেখানে সশস্ত্র জঙ্গিরা বৈসরান উপত্যকায় একদল পর্যটকের উপর গুলি চালায়। এই হামলায় দুই ডজনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর, জরুরি প্রতিক্রিয়ার জন্য বেসামরিক এলাকাগুলিকে প্রস্তুত করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জনবহুল বা কৌশলগত স্থানে আক্রমণ সহ আকস্মিক হুমকি মোকাবেলায় তৃণমূল পর্যায়ের ব্যবস্থা শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
আমাদের Facebook পেজ ![]() | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল ![]() | Join Us |
আমাদের Twitter ![]() | Follow Us |
আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
আমাদের Instagram ![]() | Join Us |
আমাদের LinkedIn ![]() | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |