Water Chestnut Farming in India। জলে বাদাম চাষের উপকারিতা জানুন। কোনও ঝামেলা নেই, কোনও খরচ নেই… এই ফসল কৃষকদের পকেট ভরছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Rate this post

Water Chestnut Farming in India – ফারুখাবাদের কমলগঞ্জ অঞ্চলে জল বাদাম চাষ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পুকুর পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে চারা রোপণ পর্যন্ত আধুনিক ও কার্যকর কৌশল অবলম্বন করে কৃষকরা তাদের ফলন বৃদ্ধি করছেন। আগে খুব কম সংখ্যক কৃষক জল বাদাম চাষ করতেন, কিন্তু এখন সমগ্র অঞ্চলে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জল বাদাম একটি কম খরচের, উচ্চ ফলনশীল ফসল, যা কৃষকদের জন্য আয়ের একটি টেকসই উৎস। পুকুরের পৃষ্ঠ থেকে শ্যাওলা এবং ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার পরে রোপণ করা হয়, যা ফসলকে সুস্থ রাখে এবং উৎপাদন উন্নত করে।

কমলগঞ্জের কৃষক অনিল কুমারের মতো অভিজ্ঞ কৃষকরা গত ৩০ বছর ধরে এই ফসলের যত্ন নিয়ে আর্থিক শক্তি বজায় রেখেছেন। জল বাদাম একটি শীতকালীন ফসল এবং শীতকালে এর দাম বেশি পাওয়া যায়, যার ফলে কৃষকরা সরাসরি যথেষ্ট লাভ অর্জন করতে পারেন।

পুকুর পরিষ্কার এবং রোপণ কিভাবে করবেন?

জলাশয় ফসলের প্রস্তুতির জন্য, প্রথমে পুকুরটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করা হয়। পুকুরের পৃষ্ঠের যেকোনো শৈবাল ধ্বংস করার জন্য স্প্রে করা হয়। এর পরে, পুকুরটি পরিষ্কার রাখা হয় এবং চারা রোপণ করে ফসল সংগ্রহ করা হয়। সঠিক প্রস্তুতি ক্ষতির ঝুঁকি হ্রাস করে এবং একটি সুস্থ ফসল নিশ্চিত করে।

কমলগঞ্জে ক্রমবর্ধমান উৎপাদন

আগে মাত্র কয়েকজন কৃষক জল বাদাম চাষ করতেন, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। কমলগঞ্জ এলাকায় প্রায় দুই ডজন কৃষক পুকুরে জল বাদাম চাষ করে ভালো আয় করছেন। ধীরে ধীরে, এই ফসল জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।

৩০ বছরের অভিজ্ঞতা

কমলগঞ্জ ব্লকের মহম্মদপুর আমলাইয়া গ্রামের অনিল কুমার গত ৩০ বছর ধরে জল বাদাম চাষ করে আসছেন। তার অভিজ্ঞতা এবং কঠোর পরিশ্রম তাকে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল করেছে। তার এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও পুকুরে জল বাদাম চাষ করে ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

Water Chestnut Farming Benefits, জলে বাদাম চাষের উপকারিতা

কমলগঞ্জ নবীন মান্ডি এবং জেলার পাইকারি বাজারে জল বাদাম প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা এগুলি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন। জল বাদাম একটি শীতকালীন ফসল, তাই শীতকালে এর দাম বেশি হয়।

রোপণ এবং ফসল কাটার সময়

জলজ বাদাম সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে রোপণ করা হয়। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ফসল প্রস্তুত হয়। সময়মতো রোপণ এবং ফসল সংগ্রহ করলে গুণমান এবং ফলন উভয়ই উন্নত হয়।

Water Chestnut Farming Profit , খরচ এবং লাভ

জলজ বাদামী ফসল চাষ করতে প্রতি একরে প্রায় ৩,০০০-৫,০০০ টাকা খরচ হয়, যার মধ্যে সার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণও অন্তর্ভুক্ত। প্রতি একরে ৭৫ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন সম্ভব। বর্তমানে, কৃষকরা এই ফসল থেকে প্রতি একরে ৫০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা আয় করছেন।

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধি

কৃষকরা এখন ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির পরিবর্তে পুকুর পরিষ্কার এবং চারা রোপণের জন্য আধুনিক কৌশল ব্যবহার করছেন। এর ফলে জলাশয়ের ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন হচ্ছে।

জলের বাদাম চাষ থেকে টেকসই আয়

কমলগঞ্জ অঞ্চলের অনেক কৃষকের জন্য জল বাদাম চাষ আয়ের একটি টেকসই উৎস হয়ে উঠেছে। এই কম খরচের, উচ্চ ফলনশীল ফসল কৃষকদের জন্য লাভজনক প্রমাণিত হচ্ছে।

এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇

আমাদের Facebook পেজ Follow Us
আমাদের What’s app চ্যানেল Join Us
আমাদের Twitter Follow Us
আমাদের Telegram চ্যানেলClick Here
Google নিউজে ফলো করুন Google NewsFollow Us
Sudipta Sahoo

Hello Friend's, This is Sudipta Sahoo, from India. I am a Web content creator, and writer. Here my role is at Ichchekutum is to bring to you all the latest news from new scheme, loan etc. sometimes I deliver economy-related topics, it is not my hobby, it’s my interest. thank you!