প্রত্যেক ব্যাক্তি চায় বিনিয়োগের মাধ্যমে মুনাফা করতে। তাই অবশ্যই চিন্তা করে দেখবেন যে শেয়ার না সোনায় বিনিয়োগ (Gold Investment) করলে বেশি লাভ পাওয়া যাবে।
বর্তমান সময়টি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার জন্য অসাধারণ এক সময়। বিশেষ করে যে সব ব্যাক্তি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে থাকেন তারা এখন বিনিয়োগ করলে দারুন লাভ পেতে পারবেন কারণ শেয়ার বাজার যতই বাড়ছে ততই কমতে চলেছে সোনার দাম। এই সুযোগে যদি কোনো ব্যাক্তি সোনায় বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে আশা করা যাচ্ছে তিনি দারুন লাভ লুটে নিতে পারবেন। এই বিষয়ে আমরা আরো বিস্তারিত জানবো।
সম্প্রতি সোনার দাম হ্রাস পাবার কারণ কি?
আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৪ এর বাজেট ঘোষণার সময় ঘোষণা করেছিলেন যে সোনার উপর শুল্কের পরিমান ৬ শতাংশ কমানো হবে। এই ঘোষণা মতো দেশের সাধারণ জনগণের পুনরায় সোনার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন যে বাজেটে এই রকম ঘোষণার ফলে সোনার মূল্য অনেকটাই হ্রাস পেতে চলেছে। গত ৫ বছরে সোনা রিটার্ন (Gold Investment) হয়েছে ১৬.২১%। যেখানে নিফটি ৫০ র রিটার্ন ছিল ১৩.৯৫%।
এই বিষয়ে বিশেষঙ্গদের মতামত (Gold Investment):
বিশেষঙ্গরা মনে করছেন যে, চলতি বছরের শেষে শেয়ার বাজার এবং সোনার দামে স্থিতিশীল বৃদ্ধি পেতে দেখা যাবে। তাদের মতে নিফটি ৫০ র মূল্য থাকতে পারে ২৫৬০০ থেকে ২৬০০০ এর মধ্যে। আবার অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে এই বছরের শেষে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৮১ হাজার ৫০০ টাকা হতে পারে। রেলিগেয়ার ব্রোকিং লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অজিত মিশ্র পরামর্শ দিয়েছেন যে বিনিয়োগকারীদের একটি ভারসাম্ম্য পূর্ণ বিনিয়োগ পোর্টফোলিও বজায় রাখতে হবে। তিনি আরো পরামর্শ দিয়েছেন যে ব্যাক্তিগত ঝুঁকি বিবেচনা করে বিনিয়োগ করতে।
ভবিষ্যতে সোনার চাহিদা কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে জানুন:
যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য ফেড রেট কম হওয়ার ফলে সোনার দাম বৃদ্ধি পেতে পারে এমন টাই মনে করেছেন মেহতা ইকুইটিস লিমিটেডের ভি পি কোমোডিটিএস রাহুল কালান্তরী। তিনি আরো পরামর্শ দিয়েছেন যে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে সোনার (Gold Investment) বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করতে। যা বর্তমানে বৃদ্ধি করা উচিত ১০ – ১৫% থেকে ৩০ -৩৫% পর্যন্ত।
সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি যে বর্তমান বাজারে স্টক এবং সোনা উভয়ের রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে এবং বিভিন্ন বিনিয়োগের উদ্দেশ্য পূরণ করছে। আমরা জানি স্টক দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চ রিটার্নের সম্ভবনা প্রদান করে। যা ছাড়িয়ে যায় মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবকে। আবার অন্যদিকে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে সোনা নিরাপর সম্পদ হিসেবে মূল্যবান ভূমিকা পালন করে।
সোনায় বিনিয়োগ করতে গেলে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
বর্তমান বাজারে বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য একটি ভারসাম্ম্য পূর্ণ বিনিয়োগ পোর্টফোলিও তৈরি করা অত্যন্ত আবশ্যক। আমাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্ত দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। শেয়ার বাজার এবং সোনার মধ্যে বিনিয়োগে (Gold Investment) সঠিক ভারসাম্ম্য বজায় রেখে এবং ঝুঁকি বিবেচনা করে তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বিশেষঙ্গদের মতামত অনুযায়ী বর্তমান বাজারে এই সময়ে বিনিয়োগকারীরা যদি সঠিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা গ্রহণ করে তাহলে ভবিষ্যতে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।
এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন
আমাদের Facebook পেজ ![]() | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল ![]() | Join Us |
আমাদের Twitter ![]() | Follow Us |
আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
আমাদের Instagram ![]() | Join Us |
আমাদের YouTube ![]() | Follow Us |
আমাদের LinkedIn ![]() | Join Us |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |