Rabindranath tagore death anniversary 2025: বাংলার বার্ড, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ছিলেন একজন বিশ্বখ্যাত কবি, সুরকার, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী এবং সমাজ সংস্কারক। তাঁর কাব্যগ্রন্থ, গীতাঞ্জলি, বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য পরিবর্তন এনেছিল, যেখানে তাঁর গানগুলি বাংলা সঙ্গীতেও একই প্রভাব ফেলেছিল। তাঁর প্রয়াণের ৮২তম বার্ষিকীতে, আমরা তাঁর জীবনের কিছু অজ্ঞাত তথ্যের দিকে নজর দেব।
ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে এবং ৮০ বছর বয়সে ৭ আগস্ট ১৯৪১ সালে তিনি মারা যান। তাঁর তীব্র ইউরেমিয়া এবং মূত্রথলিতে বাধা ধরা পড়ে। ডঃ জ্যোতিপ্রকাশ সরকার এবং ডঃ বিধান চন্দ্র রায় ১৯৪১ সালের ৩০ জুলাই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অস্ত্রোপচারের জন্য জোর দিয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের জটিলতার কারণে এক সপ্তাহ পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী হোক বা মৃত্যুবার্ষিকী, তার জীবন উদযাপনের যোগ্য। শুধু সাহিত্য, সঙ্গীত বা শিল্প নয়, তার দর্শন বাঙালি এবং ভারতজুড়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষকে প্রভাবিত করেছে।
Rabindranath tagore death anniversary 2025। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য দেখে নিন।
১৯১২ সালে ইংরেজিতে তাঁর কাব্যগ্রন্থ “গীতাঞ্জলি” প্রকাশের পর ঠাকুরই প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার (১৯১৩) লাভ করেন। আইরিশ কবি ডব্লিউবি ইয়েটস গীতাঞ্জলির এই সংস্করণের ভূমিকা লিখেছিলেন। ২০০৪ সালে নোবেল পদকটি চুরি হয়ে যায়।
ঠাকুর পশ্চিমা শিক্ষা পদ্ধতি বা ঘরের ভেতরে পড়ানো পছন্দ করতেন না। তিনি নোবেল পুরস্কারের অর্থ দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং খোলা আকাশের নিচে তার ছাত্রদের পড়াতেন।
১৯১৫ সালে, সাহিত্যে অবদানের জন্য ঠাকুর রাজা পঞ্চম জর্জের কাছ থেকে নাইটহুড উপাধি লাভ করেন। ১৯১৯ সালে, রেজিনাল্ড ডায়ার নামে একজন ব্রিটিশ জেনারেল তার সৈন্যদের পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন, যার ফলে প্রায় ১০০০ জন মারা যান। ঠাকুর তার নাইটহুড ত্যাগ করে প্রতিক্রিয়া জানান।
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’, যা ২৪ জানুয়ারী, ১৯৫০-এ গৃহীত হয়েছিল, যা ঠাকুরের বাংলা ভাষার কবিতা ‘ভারতো ভাগ্য বিধাতা’ (১৯১১) এর প্রথম স্তবক গঠন করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ও তাঁর লেখা।
ঠাকুর তাঁর মা, তাঁর শ্যালিকা, স্ত্রী, কন্যা, পিতা এবং পুত্রের মৃত্যু সহ্য করেছিলেন। তিনি একজন সর্বোচ্চ দেবতাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন যাকে তিনি “জীবন দেবতা” বা জীবনের প্রভু বলে ডাকতেন; যিনি সৃজনশীলতা এবং আধ্যাত্মিক আনন্দের উৎস।
এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
আমাদের Facebook পেজ ![]() | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল ![]() | Join Us |
আমাদের Twitter ![]() | Follow Us |
আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |