Curry Leaves Health benefits: আমাদের চারপাশে এমন অনেক গাছ এবং গাছপালা রয়েছে, যা খাবারের পাশাপাশি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে একটি হল কারি পাতা, যা খাবারের পাশাপাশি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কারি পাতা মিষ্টি নিম নামেও পরিচিত। এর পাতার গঠন নিম পাতার মতো, তবে এর পাতার স্বাদ নিম পাতার মতো তেতো নয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, কারি পাতা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, এটি হজমশক্তিও উন্নত করে, এর পাশাপাশি এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
কারি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম মুরায়া কোয়েনিগি, এটি বহু শতাব্দী ধরে ভারতীয় এবং শ্রীলঙ্কার খাবারে, বিশেষ করে শাকসবজি এবং অন্যান্য খাবারে স্বাদ যোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই কারণেই এটি কারি পাতা বা কারি পাতা নামেও পরিচিত। এই উদ্ভিদটি মূলত ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় পাওয়া যায়। ভারতে, এটি দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জন্মে, যে কারণে এটি দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, সেখানকার প্রায় প্রতিটি খাবারে এর সুগন্ধ এবং স্বাদ যোগ করে। এই উদ্ভিদের উচ্চতা ২ থেকে ৪ মিটার। এটি বাড়ির বাগানে বা বীজ বা ছোট গাছের সাহায্যে একটি টবে লাগানো যেতে পারে।
Curry Leaves Health benefits। কারি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা
হৃদরোগ
আয়ুর্বেদ অনুসারে, কারি পাতার রস শরীরে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি স্তন এবং ফুসফুসের ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে।
টিউমার কোষ
NIH রিপোর্ট অনুসারে, কারি পাতায় অ্যালকালয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফেনোলিক যৌগ থাকে যা টিউমার কোষ নির্মূল করতে কার্যকর হতে পারে।
হৃদরোগ
এর পাতা অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। কারি পাতায় আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন-বি২, বি৬ এবং বি১২ এর মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে, হৃদরোগীদের জন্য খাবারে কারি পাতা ব্যবহার করা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো বলে মনে করা হয়।
রক্তচাপ
আয়ুর্বেদচার্য ডাঃ কুণালের মতে, কারি পাতা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হজমের সমস্যা এবং অনিদ্রার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
চোখ
প্রতিদিন কারি পাতা খেলে চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এতে উপস্থিত ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করে। এছাড়াও, কারি পাতায় থাকা অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে।
এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
আমাদের Facebook পেজ ![]() | Follow Us |
আমাদের What’s app চ্যানেল ![]() | Join Us |
আমাদের Twitter ![]() | Follow Us |
আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |