Swasthya Sathi: রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু নতুন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড! সঙ্গে একগুচ্ছ সুবিধা।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী চালু করলেন নতুন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi)। যাতে শ্রমিকরা শান্তিতে ভিনরাজ্যে উপার্জন করতে পারে।

জনগণের স্বার্থে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিভিন্ন রকম প্রকল্প চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সে গুলির মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হলো স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড অর্থাৎ দরিদ্র অসহায় মানুষদের খুবই নূন্যতম খরচে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া। এর থেকে বলা যায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের দিন দরিদ্র মানুষদের কথা ভেবে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে তিনি বেশির ভাগ নারী কল্যাণের দিকে উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। তার ই এক বড়ো প্রমান হলো লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প। যা সম্পূর্ণ মহিলাদের স্বার্থে নেওয়া। ঠিক একই ভাবে তিনি এবার রাজ্যের পরিযায়ী কর্মীদের কথা ভেবে চালু করেছেন স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড।

গত মঙ্গলবার শিলিগুড়ি দীনবন্ধু মঞ্চে এক বৈঠকে জনজাতি, সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক বোর্ড গুলিকে নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে নিজে থেকে স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড এর কথা ঘোষণা করেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমান দিনে বিভিন্ন ধরণের স্মার্ট কার্ড গুলির মতোই স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড ও হলো একটি কাগজ বিহীন স্মার্ট কার্ড। তবে এই প্রকল্পটি বর্তমান দিনে নয়, এই প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল ২০১৬ সালে ৩০ শে ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে।

কারা পাবেন নতুন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা?

রাজ্য সরকার দ্বারা চালু করা এই কার্ডটির সুবিধা সকল রাজ্যবাসী পেয়ে থাকবেন তার খরচ বহন করবে স্বয়ং আজ সরকার। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন যে, আমাদের রাজ্যে বহু শ্রমিক মজুর রয়েছে যারা বাইরের রাজ্যে কাজ করে থাকেন সেই সব দিন মজুরদের কথা ভেবে আজ থেকে তাদের হাথে তুলে দেওয়া হবে স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড। যাতে তারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়।

পরিযায়ী শ্রমিক অর্থাৎ যারা বাইরে কাজ করে থাকেন। এরা যখন বাইরে কাজ করে থাকে তখন এদের শরীর খারাপ হলে এরা বাড়িতে খবর পাঠান। এই ভেবে যে ঘরের মানুষ এই বিষয়টা নিয়ে ভাববে ও দেখবে। কিন্তু তারা চাইলেও তাদের কাছে চিকিৎসা করানোর মতো কোনো টাকা থাকে না । আমাদের রাজ্যে প্রায় ২৮ লক্ষ শ্রমিক মজুররা বাইরের রাজ্যে কাজ করে থাকেন, সেই সব শ্রমিক মজুরদের জন্য স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড আলাদা ভাবে প্রদান করছে রাজ্য সরকার। যাতে তারা ভিন রাজ্যে থেকেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধায় না পড়েন।

আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক আছেন যারা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে কাজ করেন এবং কিছু মাস অন্তর অন্তর নিজের রাজ্যে ফিরে যান নিজের পরিবার ও আপনজনের কাছে। বর্তমানে আমাদের রাজ্যের গণনা অনুযায়ী এই পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ।
তবে তারা একা একা ভাবে যে ভিন রাজ্যে যায় তা কিন্তু নয় তারা গোষ্ঠী বদ্ধ ভাবে থাকে অর্থাৎ ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার সময় সঙ্গে বদ্ধ ভাবে যায়। যা তাদের কাজের ক্ষেত্রে এবং ভিন রাজ্যে থাকার ক্ষেত্রে অনেকটা সাহায্য হয়।

নতুন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা?

যেসব শ্রমিকরা নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজের জন্য যান তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ রাজমিস্ত্রি, রং করা, মাঠি কাটা এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির কাজে ও যায়। যদি ভিন রাজ্যে কাজ করতে করতে কোনো শ্রমিকের উঁচু বিল্ডিং থেকে পড়ে দুর্ঘটনা হয় বা অন্য কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো ভাবে দুর্ঘটনা ঘটে যায় সেক্ষেত্রে বিপুল পরিমান টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানো তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না, যা তাদের একটি বড়ো সমস্যার কারণ।

কোনো দুর্ঘটনা ঘটার পর শ্রমিকের পরিবারে খবর পাঠানো হয় কিন্তু যতক্ষনে সে খবর নিয়ে পৌঁছায় ততক্ষনে শ্রমিকের মর্মান্তিক কিছু হয়ে যেতে পারে। এই সব খারাপ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার নতুন স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড এর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা বিনা মূল্যে চিকিৎসা করতে পারবেন। সেখানকার কোনো স্থানীয় হাসপাতাল বা নার্সিং হোম থেকে তও আবার কোনো সমস্যা ছাড়াই।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) বীমার পরিমান কত ?

এই কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ পরিবারের ক্ষেত্রে প্রত্যেক পরিবার পিছু বার্ষিক ৫ লাখ টাকার বীমা প্রদান করে থাকে সরকার। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা টি একটি ভিন্ন অর্থাৎ এরা ইন্সুরেন্সের পরিবর্তে অসুরেন্স পাবেন। ভিন রাজ্যের যেকোনো সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারি যেকোনো নার্সিং হোম এও চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাবে এই নতুন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে।

সর্বশেষে বলা যায় যে, এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু হওয়ার ফলে শ্রমিকদের পাশাপাশি তাদের পরিবার রাও অনেকটা দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছে কারণ তাদের পরিবারের মানুষটি শান্তির সাথে বাইরে উপার্জন করতে পারবে।

এই ধরনের অর্থনীতি সম্পর্কিত তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের যুক্ত থাকুন 

আমাদের Facebook পেজ Follow Us
আমাদের What’s app চ্যানেল Join Us
আমাদের Twitter Follow Us
আমাদের Instagram Join Us
আমাদের YouTube Follow Us
আমাদের LinkedIn Join Us
Google নিউজে ফলো করুন Google NewsFollow Us
Sudipta Sahoo

Hello Friend's, This is Sudipta Sahoo, from India. I am a Web content creator, and writer. Here my role is at Ichchekutum is to bring to you all the latest news from new scheme, loan etc. sometimes I deliver economy-related topics, it is not my hobby, it’s my interest. thank you!