New Voter registration Process: আপনি যদি প্রথমবারের মতো ভোটার হতে চলেছেন অথবা কোনও কারণে আপনার নাম এখনও ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত না হয়ে থাকে, তাহলে এটি আপনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। নির্বাচন কমিশন বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) এর অধীনে ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে, যেখানে ১ জানুয়ারী, ২০২৬ সালের মধ্যে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করা তরুণরা এবং স্থান পরিবর্তনের কারণে বাদ পড়া ভোটাররা আবেদন করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের মতে, যেসব তরুণ-তরুণীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে অথবা ১ জানুয়ারী, ২০২৬ সালের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ হবে এবং যাদের নাম এখনও ভোটার তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়নি, তারা তাদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এছাড়াও, যেসব ভোটার তাদের পুরনো ঠিকানা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে গণনা ফর্ম পূরণ করতে পারেননি, অথবা যাদের নাম ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় নেই, তারাও আবেদন করতে পারবেন।
যারা এখনও তাদের ভোটার কার্ড পাননি, তাদের জন্য নির্বাচন কমিশন আবেদন প্রক্রিয়াটি সহজ করেছে। ভোটাররা অফলাইন এবং অনলাইন উভয়ভাবেই আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন আবেদনের জন্য নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল পোর্টাল হল voters.eci.gov.in, যেখানে অফলাইনে আবেদন করা যাবে ফর্ম 6 পূরণ করে এবং সংশ্লিষ্ট বুথ লেভেল অফিসারের (BLO) কাছে সহায়ক নথিপত্র জমা দিয়ে।
আরও পড়ুন: রেশন কার্ড পেতে অফিসে যাওয়ার ঝামেলা শেষ, এখন ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করুন।
New Voter registration Process, ফর্ম-৬ এর সাথে এই নথিগুলির যেকোনো একটি জমা দিন।
আবেদনের সময়, ফর্ম ৬ এর সাথে একটি ঘোষণাপত্র এবং প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বৈধ নথির মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার কর্তৃক জারি করা পরিচয়পত্র, সরকারি খাতের উদ্যোগ, ১ জুলাই, ১৯৮৭ এর আগে জারি করা সরকারি নথি, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, শিক্ষাগত সনদ, স্থায়ী বসবাসের সনদ, জাত সনদ, পারিবারিক রেজিস্টার এবং জমি বা বাড়ি বরাদ্দের সনদ।
ভোটার তালিকায় আপনার নাম যুক্ত করতে, আপনাকে ফর্ম ৬ এর সাথে একটি স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে। প্রদত্ত নথিপত্রের তালিকা থেকে আপনাকে একটি স্ব-প্রত্যয়িত সমর্থনকারী নথিও সংযুক্ত করতে হবে।
যেকোনো কেন্দ্রীয় সরকার/রাজ্য সরকার/সরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কর্মচারী/পেনশনভোগীকে জারি করা যেকোনো পরিচয়পত্র/পেনশন প্রদানের আদেশ।
১ জুলাই ১৯৮৭ সালের আগে সরকার/স্থানীয় কর্তৃপক্ষ/ব্যাংক/ডাকঘর/এলআইসি/সরকারি খাতের উদ্যোগ কর্তৃক ভারতে জারি করা যেকোনো পরিচয়পত্র/শংসাপত্র/রেকর্ড।
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম সনদ।
পাসপোর্ট।
স্বীকৃত বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ম্যাট্রিকুলেশন/একাডেমিক সার্টিফিকেট।
উপযুক্ত রাজ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র।
বন অধিকার সার্টিফিকেট।
ওবিসি/এসসি/এসটি অথবা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা যেকোনো বর্ণ শংসাপত্র।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (যেখানে প্রযোজ্য)।
রাজ্য/স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুত পারিবারিক নিবন্ধন।
সরকার কর্তৃক জারি করা যেকোনো জমি/বাড়ি বরাদ্দের শংসাপত্র।
আধার সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে হবে।
আপনি BLO-এর সাহায্যে অফলাইনে আবেদন করতে পারেন।
আপনি যদি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য অফলাইনে আবেদন করতে চান, তাহলে আপনার এলাকার বুথ লেভেল অফিসার (BLO)-এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আবেদনের সময়, আপনাকে পরিবারের সদস্য বা প্রতিবেশীর ভোটার আইডি নম্বর, অথবা EPIC নম্বর প্রদান করতে হবে। আপনাকে প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র এবং ঠিকানা প্রমাণপত্রও জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের হনুমান জয়ন্তী কবে পড়েছে? হনুমান জয়ন্তীর পূজা বিধি জানুন।
ঘরে বসে এভাবে অনলাইনে আবেদন করুন
প্রথমে নির্বাচন কমিশনের ভোটার পরিষেবা পোর্টাল voters.eci.gov.in-এ যান।
হোমপেজে নতুন ভোটার নিবন্ধন বিকল্পে ক্লিক করুন।
এবার Fill Form 6 এ ক্লিক করুন।
আপনার মোবাইল নম্বর এবং ক্যাপচা লিখুন, তারপর Request OTP-তে ক্লিক করুন।
আপনার মোবাইলে প্রাপ্ত OTP প্রবেশ করে লগ ইন করুন।
লগইন করার পর, আবার “Fill Form 6” বিকল্পটি নির্বাচন করুন।
এখন ফর্ম-৬ খুলবে, যেখানে রাজ্য এবং বিধানসভা নির্বাচন করতে হবে।
এর পরে, ব্যক্তিগত বিবরণ, পারিবারিক তথ্য, যোগাযোগের বিবরণ, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ এবং বর্তমান ঠিকানা পূরণ করুন।
যদি পাওয়া যায়, তাহলে আধার সম্পর্কিত তথ্য লিখুন।
পরিবারের যেকোনো সদস্যের ভোটার আইডি (EPIC নম্বর) বিবরণ লিখুন।
প্রয়োজনীয় পরিচয় এবং ঠিকানার নথি আপলোড করুন।
ঘোষণা গ্রহণ করুন, ক্যাপচা পূরণ করুন এবং ফর্মটি জমা দিন।
আপনার ফর্ম জমা দেওয়ার কয়েকদিন পরে, বুথ লেভেল অফিসার (BLO) যাচাইয়ের জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন। যাচাইকরণ সম্পন্ন হলে, আপনার নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা মনোযোগ দিন! AI প্রতিযোগিতামূলকতার ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান তৃতীয়!!
নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ এবং যোগ্য নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আরও তথ্যের জন্য, ভোটাররা হেল্পলাইন নম্বর 1950-এ যোগাযোগ করতে পারেন।
এই ধরনের তথ্য সহজ বাংলা ভাষায় পেতে আমাদের টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন 👇
| আমাদের Facebook পেজ | Follow Us |
| আমাদের What’s app চ্যানেল | Join Us |
| আমাদের Twitter | Follow Us |
| আমাদের Telegram চ্যানেল | Click Here |
| Google নিউজে ফলো করুন | Follow Us |













